রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাম্মী আহমেদের বাড়িতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পাঁচ নেতা পুলিশের হাতে হাতেনাতে আটক হয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে শুরু হয় নানা সমালোচনা। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন।
রোববার (২৭ জুলাই) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি চাঁদাবাজির কথা তুলে ধরেছেন।
তার পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
একজন ডিসির সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি আমাকে জানালেন, জেলা পর্যায়ের সব দপ্তরে ছাত্র প্রতিনিধির মাধ্যমে সব কাজ করার বিষয়ে আমাদের ওপর উপদেষ্টাদের নির্দেশনা আছে। এ কারণে সব জায়গায় তদারকির জন্য ছাত্রপ্রতিনিধি ঠিক করে দিয়েছি। প্রতিটা মন্ত্রণালয় ও সরকারি দপ্তরেও একই অবস্থা।
তদারকির নামে এসব ছাত্রপ্রতিনিধিরা বদলি বাণিজ্য, প্রমোশন, নিয়োগ ইত্যাদি কাজ করে থাকে। আমি নিজেও এর কয়েকটা প্রমাণ পেয়েছি। একজন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে তিনি আমাকে বলছিলেন, ওমক সমন্বয়করা আমাকে এখানে এনেছে। আমাকে বাদবে, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেবে, এগুলো করে কিচ্ছু করতে পারবে না!
গতকাল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার সঙ্গে কথা হচ্ছিল। সে আমাকে বলল, ভাই, ওমক মিনিমাম কোটি টাকার বেশি কামিয়েছে! আমি বললাম, কী বলো! সে বলে ভাই, গণ-অভ্যুত্থান পরপর এক একটা সমন্বয়ক মানে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা ছিল। আমি নিজেও যখন বিভিন্ন জায়গায় সহ-সমন্বয়ক পরিচয়ে গিয়েছি, একই অনুভূতি হয়েছে!
সকালবেলা ইউটিউবে একটা বক্তব্য সামনে আসল। একটু শুনলাম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই গোলাম রাব্বানী স্যারের বক্তব্য, ‘যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী এই হত্যার প্রকাশ্য প্রতিশোধ চায় না, আমি তাকে ঘৃণা করি….. যার বক্তব্য এই দেশের জনগণকে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছিলো… তিনি বলেছেন, ২৪ এর হিরোরা ভিলেনও হয়ে যেতে পারে (কমেন্টে লিংক দিয়ে দেব)!
আজকে কেন এই প্রসঙ্গ আসছে? যে তরুণরা মাথার মুকুট ছিল। এখন তাদের নিয়ে এত প্রশ্ন ও অভিযোগ কেন? এগুলোর জন্য দায় কার? দেখেন, গণ-অভ্যুত্থানের পরে তরুণদের বিভিন্ন দপ্তরে ছাত্রপ্রতিনিধি বানানো হয়েছে, ডিসি এসপিকে বলা হয়েছে সমন্বকদের নিয়ে কাজ করুন… গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ছাত্রপ্রতিনিধি ১ কোটি টাকা চাঁদাবাজির জন্য গ্রেপ্তার হয়েছে।
অপরিসীম ক্ষমতা এই তরুণদের পথভ্রম করেছে। যার জন্য দায়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদ। পুরো বিপ্লবকে বিপথে পরিচালিত করেছে এই এনজিও ব্যক্তিত্ব, বৃদ্ধ আমলা ও কতিপয় সুশীল, মানবাধিকার কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আসছে ৮ আগস্ট বিপ্লব বেহাত দিবস পালন করে তাদেরকে সম্মানিত করা হোক!

