Durnitibarta.com
ঢাকাবুধবার , ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খুলছে না জুলাই সনদের জট

প্রতিবেদক
Dhaka Office
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫ ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্টভাবে বলেছেন, “ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।” তবে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা এবং বিভিন্ন নতুন দাবি নির্বাচনী সময়সূচি ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব জানান, পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই যে এই নির্বাচন ঠেকাতে পারে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছে, যাতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা নিশ্চিত করা যায়।

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা শেষ হয়নি। এ অবস্থায় রাস্তায় কর্মসূচি দেওয়া স্ববিরোধী। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার মতো নির্বাহী আদেশ গ্রহণযোগ্য নয়।

অন্যদিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ দাবি করেছেন, সনদ বাস্তবায়ন নির্বাচনের আগেই করতে হবে। প্রয়োজনে প্রভিশনাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার বা গণভোটের মাধ্যমে তা কার্যকর করা যেতে পারে।

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন প্রস্তাব করেছেন গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে সংস্কারকে স্থায়ী করার।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সতর্ক করেছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করা সম্ভব নয়। সংস্কার নিয়ে অতিরিক্ত সময়ক্ষেপণ দেশকে অচলাবস্থার দিকে ঠেলে দিতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আগামী নির্বাচন হবে একটি মহোৎসবের নির্বাচন। জাতির নবজন্ম ঘটাতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতায় পৌঁছতেই হবে।”