Durnitibarta.com
ঢাকাসোমবার , ১৭ নভেম্বর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গৌরীপুরে নারী সমাবেশে হামলার বিচার ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রতিবেদক
Editor
নভেম্বর ১৭, ২০২৫ ৮:২৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার :

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত নারী সমাবেশে হামলার বিচার, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণসহ ২৪ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৬ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে গৌরীপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে পৌর শহরের কালীখলা এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নেতাদের বক্তব্য
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন,
“হিরণ ভাইসহ সকল নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে করা মামলার রায় ঘোষণার দাবি জানাই। সেই মামলায় শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তিরও দাবি জানাচ্ছি।”
উপজেলা বিএনপির সদস্য মঞ্জরুল হক মঞ্জু বলেন,
“আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে দাবি জানাই—গৌরীপুরের ঘটনাটি তদন্তে একটি বিশেষ টিম গঠন করুন। তদন্তে আমাদের দোষ প্রমাণিত হলে আমরা শাস্তি মেনে নেবো, আর অপরাধী যেই হোক তাকে শাস্তি দিন। হিরণ ভাইসহ সবার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে মনোনয়ন দিলে আমরা আসনটি উপহার দেবো।”
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান সিরাজ অভিযোগ করে বলেন,
“৯ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত নারী সমাবেশে মঞ্চ ভাঙচুর ও নারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটনার পর আহতদের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় আকস্মিকভাবে হিরণ ভাইসহ পাঁচ নেতাকে বহিষ্কারের খবর জানতে পারি, যা আমাদের কাছে অন্যায্য মনে হয়েছে।”
এতে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল মান্নান তালুকদার, মাহমুদুল ওয়াহাব মনি, যুবদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, শ্রমিকদল সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ, সাবেক ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া, সহনাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ অনেকে।
জানা যায়, ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেনকে কেন্দ্র করে মনোনয়নবঞ্চিত আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণের অনুসারীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ৯ নভেম্বর উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হন।
ঘটনার পর দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ, তাজুল ইসলাম খোকন, মাসুদ পারভেজ কার্জন, সুজিত কুমার দাস ও মনিরুজ্জামান পলাশ—এই পাঁচজনকে বিএনপির সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
পরদিন ১০ নভেম্বর ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন তালুকদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গৌরীপুর ছাত্রদলের আরও ১৯ জনকে বহিষ্কার করা হয়।
গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার সাংবাদিকদের বলেন,
“নারী সমাবেশে হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”