ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার নিরপেক্ষতা হারিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে ‘জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ’-এর সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফয়জুল করীম বলেন, “যারা রাস্তায় নেমে জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল, তাদেরকে আপনি (ড. ইউনূস) উপেক্ষা করে চলবেন! আপনি নিরপেক্ষ নন, বরং একটি দলের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ যদি জাগ্রত হয়, কোনো জালেমকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না।”
গানের শিক্ষক নিয়োগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “প্রতিটি প্রাইমারি স্কুলে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন আওয়ামী লীগের এজেন্ডা ছিল। শেখ হাসিনা চলে গেছে, কিন্তু তার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য দোসররা এখনো সক্রিয়। গান ভারতের কৃষ্টি-সংস্কৃতি, এটি বাংলাদেশের সংস্কৃতি নয়। বরং মুসলমানদের জন্য হারাম। কোনো অবস্থাতেই জাতীয়ভাবে হারাম চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা-ই জাতীয় শিক্ষা। মুসলমান যদি ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়, তবে প্রকৃত মুসলমান হতে পারে না। তাই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। অন্যথায় আমরা সরকারকে বাধ্য করব।”
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, “আজ বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়া মুসল্লিরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামে, তাহলে সরকার একদিনও টিকে থাকতে পারবে না। বাংলাদেশ ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশ, তাই শাসকদের উচিত ইসলামি নীতিমালা মেনে আইন প্রণয়ন করা।”
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

