বেশিরভাগ কর্মজীবী দিনের একটি বড় অংশ কর্মক্ষেত্রে কাটান। এর ফলে অফিসের পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেখানে অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। কর্মক্ষেত্র অনুপ্রেরণামূলক হতে পারে, তবে সেখানে কিছু বাড়তি চ্যালেঞ্জও থাকতে পারে। যেমন ঈর্ষান্বিত সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করা।
কর্মক্ষেত্রে ঈর্ষা একটি সাধারণ ও পরিচিত সমস্যা, যা বেশিরভাগ কর্মী তাদের সহকর্মীদের কাছ থেকে পেয়ে থাকেন। আপনার সাফল্য বা স্বীকৃতি অন্যের মনে হীনমন্যতা তৈরি করতে পারে। এগুলো আপনার কাজকে হুমকির মুখেও ফেলতে পারে। আপনি হয়তো সব কর্মক্ষেত্রেই কিছু না কিছু ঈর্ষান্বিত সহকর্মী পাবেন। তাই তাদের জন্য চাকরি ছেড়ে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বরং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এই সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে-
পেশাদার হোন এবং শান্ত থাকুন
অফিসে পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন। ঈর্ষান্বিত সহকর্মীদের নেতিবাচক আচরণে হতাশ না হয়ে কর্তব্য পালনে মনোনিবেশ করা উচিত। সহকর্মীরা যখন ঈর্ষার বশবর্তী হয়ে কাজ করে, তখন তারা আপনাকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করতে পারে। এর সর্বোত্তম প্রতিক্রিয়া হলো পেশাদার এবং শান্ত থাকা। আবেগপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দেওয়ার পরিবর্তে, বিজ্ঞতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানান। মনোবিজ্ঞান বলে, শান্ত থাকলে তা অন্য ব্যক্তির উদ্দেশ্যকে নিরস্ত্র করে।
তাদের নেতিবাচক আচরণে জড়ানো এড়িয়ে চলুন
ঈর্ষান্বিত সহকর্মীরা আপনার পেছনে আপনার সম্পর্কে গুজব ছড়াতে পারে অথবা আপনাকে হেয় প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। তাদের সঙ্গে জড়ানোর অর্থ হলো আগুনে ঘি ঢালা। মনোবিজ্ঞান এই ধরনের আচরণের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখানোর বিরুদ্ধে পরামর্শ দেয়। তাই অফিস পলিটিক্স এড়িয়ে চলুন। বিনয়ের সঙ্গে নেতিবাচক কথোপকথন থেকে নিজেকে মুক্ত করুন। তাদের নেতিবাচকতাকে উপভোগ না করে পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবেন। এটি আপনাকে কাজে মনোযোগী থাকতেও সাহায্য করবে।
আপনার কাজ এবং শক্তির ওপর মনোযোগ দিন
ঈর্ষান্বিত সহকর্মীরা তাদের নিজস্ব অক্ষমতা সম্পর্কে অনিরাপদ থাকে এবং তাই তারা আপনাকে ঈর্ষা করে। এটি মোকাবিলা করার সেরা উপায় হলো নিজের কাজের ওপর মনোযোগ দেওয়া। বিশ্বাস রাখুন যে সবকিছু ঠিকঠাক হবে এবং এটি আপনাকে কঠিন মানুষ এবং পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং শক্তি দেবে। মনোবিজ্ঞান বলে, সাফল্য হলো নেতিবাচকতার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া।