টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওয়ানডে ফরম্যাটে এসে যেন হারিয়ে গেছে সেই আত্মবিশ্বাস ও ছন্দ। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আরও হতাশাজনক পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে টাইগাররা।
আবুধাবিতে সিরিজে টিকে থাকার ম্যাচে ১৯১ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডে ফরম্যাটে এমন লক্ষ্য তাড়া করা কঠিন হওয়ার কথা নয়, কিন্তু ব্যাটাররা যেন তাড়া খাওয়া মানসিকতা নিয়ে নেমেছিলেন মাঠে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২৮.৩ ওভারে মাত্র ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় পুরো দল। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ৮১ রানের বড় জয় তুলে নিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান।
এই হারের ফলে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার পথ জটিল হয়ে গেল বাংলাদেশের জন্য। অথচ সিরিজ বাঁচানোর এই ম্যাচে জয় পাওয়াই ছিল সহজ কাজ—তবে সেই সহজ কাজটাই হয়ে দাঁড়াল সবচেয়ে কঠিন।
ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরুটা হয় প্রথম ওভারেই। শূন্য রানে ফিরেন তানজিদ হাসান তামিম। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত রান আউট হয়ে ফেরেন ৭ রানে। সাইফ হাসান ২২ ও তাওহীদ হৃদয় ২৪ রান করলেও কেউই থিতু হতে পারেননি। এরপর জাকের আলি অনিক, নুরুল হাসান সোহান, রিশাদ হোসেনরা ব্যাট হাতে কোনো প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ হন। রশিদ খানের স্পিনে দিশেহারা হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটাররা—তিনি একাই নেন ৫ উইকেট।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি আফগানিস্তানও। তানজিম হাসান সাকিবের নতুন বলের আক্রমণ আর মেহেদি হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়েছেন ইব্রাহিম জাদরান, খেলেছেন ৯৫ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৪৪ ওভার ৫ বলে ১৯০ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।
কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ে সহজ লক্ষ্যও পাহাড় হয়ে দাঁড়ায়—এবং সেই পাহাড়ই পেরোনো গেল না টাইগারদের।